শৃঙ্খলা
কলেজে সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকল ছাত্র-ছাত্রীকে নিম্নবর্ণিত নিয়ম ও শৃঙ্খলা অনুসরণ করতে হয়ঃ
১। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে কলেজ নির্ধারিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোষাকে কলেজে আসতে হবে।
২। নথ ছোট ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
৩। চুল পরিপাটি করে আচঁড়িয়ে আসতে হবে। ছেলেদের চুল ছোট করে কাটতে হবে এবং মেয়েদের দুই বেনী/ঝুঁটি করে আসতে হবে।
৪। শিশু, ১ম ও ২য় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা (যারা শ্রেণিকক্ষে টিফিন খায়) তাদের অবশ্যই রুমাল আনতে হবে।
৫। ছেঁড়া কাগজ, ফলের খোসা, উচ্ছিষ্ট ইত্যাদি শ্রেণিকক্ষে, করিডোরে কিংবা কলেজ আঙ্গিনায় না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় অথবা ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
৬। ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত কলেজে আসা নিষেধ। এইক্ষেত্রে শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে অনুপস্থিতির জন্য অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে।
৭। উপযুক্ত কারণ ব্যতীত কলেজে অনুপস্থিত থাকা বাঞ্জনীয় নয়। অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে অভিভাবকের দরখাস্ত শ্রেণিশিক্ষক/শিক্ষিকার কাছে জমা না দিলে পরবর্তীতে ক্লাস করার অনুমতি দেয়া হবে না।
৮। কলেজ নির্ধারিত পোষাক ছাড়া কোন ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাস করতে দেয়া হয় না। কোন যথার্থ কারণে নির্ধারিত পোষাকে আসা সম্ভব না হলে ছাত্র-ছাত্রীকে অবশ্যই অভিভাবকের নিকট থেকে কারণ দেখিয়ে পত্র আনতে হবে, অন্যথায় ক্লাস করতে দেয়া হবে না।
৯। ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট কলেজের ঠিকানায় কোন চিঠিপত্র না আসাই নিয়ম। যদি আসে চিঠি খুলে দেখা হয় এবং প্রয়োজনে অভিভাবককে জানানো হয়।
১০। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে কলেজের লোগোযুক্ত নির্ধারিত কলেজ ডায়েরি প্রতিদিন কলেজে নিয়ে আসবে এবং প্রতিদিনের প্রতি পিরিয়ডের প্রদত্ত নির্দেশ, শ্রেণির কাজ বা বাড়ির কাজ ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করবে।
১১। কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন অবস্থায় কলেজে মোবাইল ফোন, হেডফোন, এমপিথ্রি প্লেয়ার, সিডি, আইপ্যাড, ক্যামেরা ইত্যাদি কলেজে আনতে পারবে না।
১২। কোন অনুষ্ঠান কিংবা বিশেষ প্রয়োজনে অবশ্যই শ্রেণিশিক্ষকের অনুমতি সাপেক্ষে উপরোক্ত দ্রব্যাদি সাথে নিয়ে আসতে পারবে।
ইউনিফর্ম
ছোট বালক-বালিকা: শিশু থেকে ৪র্থ শ্রেণি
বালক: খাকী হাফ প্যান্ট, আকাশী নীল হাফ শার্ট এবং কালো বেল্ট, সাদা পিটি জুতা, সাদা মোজা।
বালিকা: আকাশী নীল শার্ট কলার ফ্রক, সাদা পিটি জুতা, সাদা মোজা।
বড় বালক-বালিকা: ৫ম থেকে ১২শ শ্রেণি
বালক: খাকী ফুল প্যান্ট, আকাশী নীল হাফ শার্ট এবং কালো বেল্ট, সাদা পিটি জুতা, সাদা মোজা।
বালিকা: খাকী ফুল প্যান্ট, আকাশী নীল হাফ শার্ট, সাদা সালোয়ার, সাদা ওড়না, সাদা পিটি জুতা, সাদা মোজা।
সকল ছাত্র-ছাত্রীকে কলেজ ইউনিফর্মের সাথে নেমট্যাগ এবং নিজ হাউসের নির্ধারিত কালারের হাউস ব্যাজ ধারণ করতে হয়। হাউসের কালার হচ্ছে- ঈশা খাঁ-গোলাপী, তিতুমীর-সবুজ, শের-এ-বাংলা-হলুদ ও নজরুল-লাল। কলেজ শাখার ছাত্র-ছাত্রীরা বিভাগ অনুযায়ী কালারের সোলডার এপোলেট ও শ্রেণি অনুযায়ী র্যাংক ব্যবহার করতে হয়। শীতকালে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে ফুল হাতা নেভি ব্লু সোয়েটার/কার্ডিগান পরতে হয়। ব্যবহারিক ক্লাসে সাদা এপ্রোন পরতে হয়। ছাত্রদের চুল সামরিকবাহিনীর স্টাইলে ছোট করে কাটতে হয় এবং মেয়েদের চুল দুই বেনী/ঝুটি বেঁধে আসতে হয়।
পরীক্ষা পদ্ধতি
১। প্রতি মেয়াদে ১ম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত ৪টি করে ক্লাস টেস্ট নেয়া হয়। প্রতিটি ক্লাস টেস্টে ২৫ নম্বর থাকবে।
২। শিশু থেকে ৩য় শ্রেণি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির জন্য প্রতি মেয়াদান্তে মেয়াদি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়াদি পরীক্ষার ছাপানো প্রোগ্রাম প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষার পূর্বে সরবরাহ করা হয়। প্রোগ্রামে কোন পরিবর্তন হলে নোটিশবোর্ড ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
৩। ৪র্থ থেকে উচ্চতর শ্রেণিতে প্রত্যেক বিষয়ে (ড্রইং ও শারীরিক শিক্ষা ব্যতীত), ক্লাস টেস্ট এবং পরীক্ষা ১০০ নম্বরে হবে যা ফলাফল নির্ধারণে ৭০%এ পরিবর্তন করা হবে।
৪। ১০ম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি এবং দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা বোর্ডের নিয়মানুযায়ী হবে। নির্বাচনি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীকে বোর্ডের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।
৫। তিনটি মেয়াদি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় করে বার্ষিক পরীক্ষায় মেধা তালিকা তৈরি করা হয়।
৬। শিশু থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত কোন মেয়াদি পরীক্ষা হবে না। শুধু ক্লাস টেস্ট হবে এবং ক্লাস টেস্টগুলোর গড়ের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারিত হবে।
৭। প্রতিটি শ্রেণিতে মেধা তালিকায় শুধুমাত্র ১ম স্থান অধিকারীকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেয়া হয়।
৮। চূড়ান্ত ফলাফল বা বাৎসরিক পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে কৃতকার্য না হলে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হয় না।
৯। শ্রেণিভিত্তিক পাসের নম্বর হচ্ছে কেজি থেকে ৫ম শ্রেণি ৫০% এবং ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ৪০%
১০। কোন পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে না দিতে পারলে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে।
১১। মেয়াদি পরীক্ষার খাতা কলেজ কর্তৃক সরবরাহ করা হয়।
১২। ক্লাস টেস্ট এবং ১ম ও ২য় মেয়াদি খাতা অভিভাবকদের পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠান হয় ও দু’দিন পর ফেরত নেয়া হয়। ৩য় মেয়াদি পরীক্ষার খাতা নির্দিষ্ট তারিখে শ্রেণিকক্ষে দেখানো হয় এবং প্রতি মেয়াদান্তে রিপোর্ট কার্ড পাঠানো হয় এবং অভিভাবকের স্বাক্ষরের পর ফেরত নেয়া হয়।
বেতন ও অন্যান্য ফি
ক) ভর্তি ফি ১৫০ টাকা
খ) মাসিক বেতন ৫০০ টাকা
বেতন-ফি পরিশোধের পদ্ধতি
১ জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অনলাইনে কলেজের বেতন-ফি পরিশোধ করতে হবে। শাহীন কলেজের শাহীন কলেজ বুথে একাউন্ট (Student Saver`s A/C) খুলে অনলাইনে বেতন-ফি প্রদান করার ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে অনলাইনে বেতন-ফি প্রদানের পদ্ধতি দেখানো হল-
জরিমানার হার
ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিলম্বে মাসিক বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে নিন্মলিখিত হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে:
১। প্রতি মাসের ১ হতে ১৫ তারিখের মধ্যে জরিমানা নাই।
২। চলতি মাসের ১৫ তারিখের পর ১০ টাকা
৩। চলতি মাসের ২০ তারিখের পর ২০ টাকা
৪। চলতি মাসের ২৫ তারিখের পর ৩০ টাকা
৫। এক মাস পর ৫০ টাকা
৬। দুই মাস পর এক মাসের বেতনের সমপরিমান টাকা
৭। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে বেতন ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে হবে। প্রতি মাসের শেষ কার্যদিবস ব্যতীত দিবা-রাত্রি যেকোন সময় বেতন-ফি জমা দেয়া যাবে।
৮। অনলাইনে বেতন প্রদানের জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃক প্রদেয় বাংক আইডি ব্যবহার করতে হবে। বাংক আইডি না পেয়ে থাকলে কলেজ অফিসের হিসাব শাখা হতে সংগ্রহ করা যাবে।